Image description

গত মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর তুরাগে বাউনিয়া মইষাগার এলাকার আদর্শ পাড়া রোডের একটি ফ্ল্যাট থেকে রক্তাক্ত এবং বিবস্ত্র অবস্থায় ফাতেমা আক্তার মুক্তা (৩৩) নামে এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে নড়েচরে বসেন প্রশাসন। শুরু হয় তদন্ত। প্রথম স্বামী এবং বাড়ির নিরাপত্তা কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ফাতেমা আক্তারের দ্বিতীয় স্বামীকে বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে তুরাগ থানা পুলিশ।

মাথায় গুরুতর জখম ও বুক ঝলসানো এবং বিবস্ত্র অবস্থায় ফাতেমা আক্তারের লাশ উদ্ধার করেন পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে নিহত ওই নারীর পূর্বে চারটি বিয়ে হয়েছিল। সাইফুল ইসলাম রানা ছিলেন দ্বিতীয় স্বামী। ঘটনার দিন থেকেই পলাতক ছিলেন রানা।

তুরাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার মানবকন্ঠকে বলেন, 'হত্যার কারণ সম্পর্কে এখনও আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। এ ঘটনায় তাঁর প্রথম স্বামী এবং ওই বাড়ির নিরাপত্তাকর্মীকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। এ ঘটনায় ফাতেমা আক্তার মুক্তার দ্বিতীয় স্বামী সাইদুল ইসলাম রানা পারাতক ছিলেন। আমরা বৃহস্পতিবার সকালে ফাতেমা আক্তারের দ্বিতীয় স্বামী সাইফুল ইসলাম রানা কে রাজধানীর বসুন্ধরা থেকে গ্রেপ্তার করেছি। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বিস্তারিত পরে জানাবো।'

এলাকাবাসী ও প্রতিবেশি সূত্রে জানা যায়, বাউনিয়ার মইশেরটেক এলাকার আদর্শপাড়া এলাকার ছয় তলা বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় একটি ফ্ল্যাট বাসায় ভাড়া বাসায় থাকতেন ফাতেমা। চার মাস আগে স্বামী সাইফুল ইসলাম রানাকে নিয়ে বাসা ভাড়া নেন এই বাড়িটিতে। তাঁর দ্বিতীয় স্বামী ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি মাঝে মধ্যে ওই বাসায় আসতেন। মঙ্গলবার সকালে ঘরের দরজার নিচ দিয়ে গড়িয়ে আসা রক্ত দেখে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। পরে তারা ঘরে উঁকি দিয়ে ভেতরে রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পান। বাড়ির নিরাপত্তা কর্মীর মাধ্যমে খবর পেয়ে তুরাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। নিহত ফাতেমা আক্তারের ভোটার আইডি কার্ড তথ্যে জানা যায় রাজধানীর দক্ষিণখানের আশকোনা পশ্চিমপাড়ার মুক্ত মিয়ার মেয়ে তিনি।

তুরাগ থানার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে মৃতদেহ পোড়ানোর চেষ্টাও করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। লাশটি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইমসিন ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে।

মানবকণ্ঠ/এফআই