সাত দফা দাবিতে আবারও উত্তাল শেকৃবি


  • বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, দৈনিক মানবকণ্ঠ
  • ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:৩৩,  আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:৫২

কৃষক রত্ন শেখ হাসিনা আবাসিক হলের ১০ তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাড়িয়া রহমানের মৃত্যুর ৪র্থ দিনে আবারও উত্তাল শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর আত্মহত্যার সুষ্ঠু তদন্ত এবং ক্লাস-পরীক্ষার চাপ কমানোসহ সাত দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন আন্দোলনকারীরা।

রবিবার (২এপ্রিল) সকালে পূর্ব ঘোষিত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের প্রতিনিধি আসলেও শিক্ষার্থীরা তাদের সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো ব্যাচ থেকে সর্বমোট ৫০ জন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে উপাচার্যের কাছে দাবিসহ স্মারকলিপি প্রদান করেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দাবি মেনে নেওয়ার নির্ধারিত সময় না দেওয়ায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবিগুলো হলো, মাড়িয়া রহমানের আত্মহত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও  আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে, নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারকে এককালীন অর্থ প্রদান করতে হবে। সেশনজট এবং রি-এড দূরীকরণে ক্যারিঅন ব্যবস্থা চালু করতে হবে, সিটি কুইজ পরীক্ষা কমিয়ে এক সিটি ও এক ফাইনালের ব্যবস্থা করতে হবে, ব্যবহারিক ক্লাসে যা পড়ানো হবে সেগুলোর নোটই ব্যবহারিক খাতা হিসেবে পরীক্ষায় জমা নিতে হবে, শারীরিক অসুস্থতার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ক্লাসের উপস্থিতি নিয়ম শিথিল করতে হবে, শিক্ষার্থীদের জন্য কাউন্সিলিং সুবিধা চালু করতে সাইকোলজিস্ট নিয়োগ করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন। শিক্ষার্থীদের দাবি, অ্যাকাডেমিক ক্লাস-পরীক্ষার চাপ এবং কিছু শিক্ষকের অমানবিক আচরণের বলি হয়েছেন মারিয়া। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি, মানসিক সমস্যার কারণে মারিয়া আত্মহত্যা করেছেন। মারিয়ার মৃত্যুর পর থেকেই আন্দোলন করে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।

গত ২৩ মার্চ মারিয়া রহমান আবাসিক হলের ১০ তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে এক সপ্তাহ পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রশীদ ভুঁইয়া বলেন, আমরা তাদের স্মারকলিপি পেয়েছি।

মাড়িয়ার মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তারা কাজ করছেন। তাদের বাকি দাবিসমূহ পর্যালোচনা করে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিয়মের বাহিরে কিছুই করতে পারব না। অন্যান্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে এবং শিক্ষার মান অক্ষুণ্ণ রেখে আমরা অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট থেকে সিদ্ধান্তে আসতে পারব। শিক্ষার্থীদের ক্লাস পরীক্ষায় ফিরে যাওয়ার জন্য বলছি।

মানবকণ্ঠ/এসএ


poisha bazar