দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে জবির লেকের কাজ


  • বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, দৈনিক মানবকণ্ঠ
  • ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৭:০১

পুরনো অভিযোগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তথা নতুন ক্যাম্পাসের কাজ চলছে অতি ধীরগতিতে। তবে এবার সে অভিযোগকে ভুল প্রমাণ করে দিতে যেন আদা-জল খেয়ে মাঠে নেমেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দুই'শ একরের নতুন ক্যাম্পাসের অধিগ্রহণকৃত ভূমির মাঝে বৃত্তাকারে খনন করা হচ্ছে লেক।

আর, সে লেক খননের কাজ যেন চলছে ছুটন্ত ঘোড়ার গতিতে। কাজ শুরুর দু'মাস যেতে না যেতেই খননকাজের প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি শেষ করে ফেলেছে লেক খননের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউআইএডিএল জেবি। আর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই শেষ হবে লেক খননের কাজ। এরপর পাড় বাঁধার পালা। ইতোমধ্যে খননকৃত জায়গা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানিও। আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত কাজের মেয়াদ থাকলেও তার অনেক আগেই কাজ শেষ হবে প্রত্যাশা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটির।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্বপ্রান্ত ঘুরিয়ে লেক কাটা সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে পশ্চিমাংশের শেষ ভাগের খননের কাজ। খননের কাজ শেষ হলেই পাড় বাঁধার কাজে হাত দেয়া হবে। তারপরই সুদৃশ্য রূপ ধারণ করবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তথা নতুন ক্যাম্পাসের লেক।

নতুন ক্যাম্পাসের মাস্টারপ্ল্যান সূত্রে জানা যায়, পুরো ক্যাম্পাসের মাঝে বৃত্তাকারভাবে হবে এ লেক। বৃত্তাকার লেকের মধ্যে থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনা। আর, বৃত্তের বাইরে নির্মিত হবে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসন এবং কয়েকটি খেলার মাঠসহ অন্যান্য স্থাপনা। তন্মধ্যে, নির্মাণ করা হবে একটি স্টেডিয়ামও।

আরও জানা যায়, খননকৃত এ লেকের প্রস্থ হবে ৪৬ মিটার ও গভীরতা হবে ১০ মিটার। আর, বৃত্তাকার লেকের মোট পরিধি হবে প্রায় দুই সহস্রাধিক মিটার। এ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, "লেকের কাজ শেষ হলে অত্যন্ত সুদৃশ্য রূপ ধারণ করবে ক্যাম্পাস। লেকের ভেতর ও বাইরে বিভিন্ন স্থাপনা হবে এবং লেকের ওপর থাকবে বেশ কয়েকটি সেতু। সবমিলিয়ে কাজ শেষ হলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস দেশের অন্যতম সুন্দর ক্যাম্পাসে পরিণত হবে।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, "লেকের কাজ দ্রুত হচ্ছে। এ কাজ শেষ হলেই আমরা বালু ভরাটের কাজ শুরু করবো। তারপর শুরু হবে ভবন ও হল নির্মাণের কাজ। সবমিলিয়ে দ্রুতই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভালো কিছু করবো।"

মানবকণ্ঠ/এসএ


poisha bazar