ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন

আটকে আছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়া


  • বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, দৈনিক মানবকণ্ঠ
  • ২৭ মার্চ ২০২৩, ১৯:১৮,  আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৩, ১৯:২৩

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ৫ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের চিঠি, ‘স্থায়ী বহিস্কার কেন করা হবেনা’ এ ব্যাপারে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও ৩ শিক্ষার্থীর অতিরিক্ত সময়ের আবেদন সম্বলিত ফাইল পড়ে রয়েছে আইন প্রশাসকের দপ্তরে। ফলে অভিযুক্তদের বিষয়ে আটকে আছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়া। তাছাড়া কর্তৃপক্ষের গাফিলতির বিষয়েও প্রশ্ন উঠেছে জনমহলে।

সোমবার (২৭ মার্চ) রেজিস্ট্রার দপ্তরের উপ-রেজিস্ট্রার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তদের সাময়িক বহিষ্কার করার পর‘কেন তাদের স্থায়ী বহিস্কার করা হবেনা’ এ ব্যাপারে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে বলা হয়। পরে ২ শিক্ষার্থীর কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিলেও ৩ শিক্ষার্থী এর জবাব দেয়নি। এদিকে গত ১৩ মার্চ জবাব না দেয়া ওই ৩ শিক্ষার্থী অতিরিক্ত সময়ের আবেদন করে ফাইল জমা দেয় রেজিস্ট্রার দপ্তরে। পরে রেজিস্ট্রার দপ্তরে এন্ট্রি করা ফাইলটি ১৪ মার্চ আইন প্রশাসকের কাছে জমা দেওয়া হয়।

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মানবকন্ঠকে বলেন, ফাইলটি আইন প্রশাসকের দপ্তরে এন্ট্রি করে সময় মতো পাঠানো হয়েছে। ফাইলটি ওখানে আটকে আছে। আইন প্রশাসক এ মূহুর্তে বাইরে আছে, আগামীকাল তিনি আসবেন। তারপরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।

এ বিষয়ে আইন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনিছুর রহমান বলেন, আমি গত ১৪ মার্চ থেকে ছুটিতে আছি। আজ অথবা আগামীকাল আমি আসবো। আসার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কয়েকদিন আগে ওই ফাইলের বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কেউ জানাতে পারেনি। যার ফলশ্রুতিতে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে ফাইলটি আইন প্রশাসকের দপ্তরে আছে বলে নিশ্চিত করেন আইন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনিছুর রহমান।

মানবকণ্ঠ/এসএ

 

 


poisha bazar