ঢাবিতে গণরুমে থাকার জায়গা নিয়ে মারামারিতে চারজন সাময়িক বহিষ্কার


- ঢাবি প্রতিনিধি
- ১৪ নভেম্বর ২০১৯, ২৩:৫৬
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দীন হলে গণরুমে শোয়ার জায়গা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের দুটি গ্রুপের মধ্যে মারামারির হয়েছে। এ ঘটনায় চারজন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে হল প্রশাসন।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- ফার্সি বিভাগের রিয়ান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের নাঈম, বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের জুবায়ের ও বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আফিফ।
হল সূত্রে জানা যায়, জসীম উদ্দীন হলের ২১৪ নং গণরুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ১৮-২০ জন শিক্ষার্থী থাকেন। গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে থাকার জায়গা নিয়ে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর ও বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়েরের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। পরে একই রুমের শিক্ষার্থীরা দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি শুরু করে। জুবায়েরের পক্ষে আফিফ এগিয়ে এলে তাকে ঘুষি মারে। একপর্যায়ে গ্রুপ দুটির অন্যান্য অনুসারীরা যুক্ত হয়। ৪র্থ তলা থেকে তুষার নামক আরেক ছাত্র এসে তানভীরের পক্ষে যোগ দেয়।
পরে রাতে দুই গ্রুপের সদস্যরা একে অন্যের উপর আক্রমণ করে। এতে হলে উতপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করে। এ সময় পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণ করতে হল ইউনিয়নের এজিএস সাইফুল ইসলাম, পাঠচক্র সম্পাদক নাসির উদ্দিন ও অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে সংঘর্ষের খবর শুনে হলের হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক রহমতুল্লাহ ও আবাসিক শিক্ষক শহীদুল ইসলাম আসেন এবং উভয় পক্ষকে নিয়ে হল অফিসে আলোচনায় বসেন। সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে চার শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেন প্রাধ্যক্ষ।
ঘটনার বিষয়ে জানতে হল প্রাধ্যক্ষ রহমত উল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ঘটনাটি হলের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে অন্যকিছু বলতে রাজি হননি।
সংঘর্ষ চলাকালীন সময় বহিষ্কারের বিষয়ে হলের আবাসিক শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, এটা হলো সাময়িক। তারা যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ না করে, সেজন্যে প্রভোস্ট স্যার সতর্ক করে দিয়েছেন। বহিষ্কৃতরা হলে থাকতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বহিষ্কার বলতে এটা এরকম যে, ওরা হলে অবস্থান করতে পারবে। হলের ছাত্রত্ব থেকে বহিষ্কার, বিষয়টি এরকম নয়। এটা সাময়িক বহিষ্কার, যাতে ওরা পরবর্তীতে আরও উত্তেজিত না হয়।
মানবকণ্ঠ/এসআর

