

জার্মানিতে আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের ৪৭তম বার্ষিক জলসা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্টুটগার্টে অনুষ্ঠিত এ বৃহত্তম মুসলিম সম্মেলনে ৪৭ হাজারের বেশি আহমদী মুসলিম অংশ নেন। জলসায় ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র মানবজাতির সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান বক্তারা।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে ৫টায় এ জলসার উদ্বোধন করেন নিখিল বিশ্ব আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের খলিফা হযরত মির্যা মাসরূর আহমদ (আই.)। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় সমাপনী বক্তব্য ও দোয়ার মাধ্যমে জলসার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
জলসায় বক্তারা পবিত্র কুরআনের অনুপম সৌন্দর্য, শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় মহানবীর (সা.) অতুলনীয় আদর্শ, সোশ্যাল মিডিয়ার মন্দপ্রভাব থেকে রক্ষার উপায়, খিলাফত ও আহমদীয়া জামাতের মাঝে পারস্পরিক ভালোবাসা বিষয়ে আলোচনা করেন।
সমাপনী বক্তব্যে আহমদীয়া খলিফা পবিত্র কুরআনের আলোকে সমাজে সব শ্রেণিগোষ্ঠীর অধিকার সংরক্ষণের বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি সুরা বাকারার ২৮৩ নম্বর আয়াতের আলোকে ঋণগ্রহণ ও পরিশোধের বিষয়ে ইসলামের শিক্ষা তুলে ধরেন। এছাড়া ইসলামের ইতিহাসে জনসাধারণের সেবায় খলিফাদের দৃষ্টান্তও তিনি তুলে ধরেন।
হযরত মির্যা মাসরূর আহমদ বলেন, দ্রব্যমূল্য ঠিক রাখাও সরকারের কাজ। বর্তমানে মুসলমান দেশগুলোর নেতাদের খলিফাদের আদর্শ অবলম্বন করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, মানুষের মানবিকতা ততদিন থাকবে যতদিন সে মানুষের মাঝে কোনো পার্থক্য করবে না। যে ব্যক্তি কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা করে সে যেন পুরো মানবজাতিকেই হত্যা করলো। আজকাল যে চরম উগ্রপন্থি ধর্মব্যবসায়ীরা আছে তারা দুনিয়ায় অশান্তি ছড়াচ্ছে। নিঃসন্দেহে তারা আল্লাহর ক্রোধানলে পড়তে যাচ্ছে।
শেষে তিনি বিশ্বের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন। জলসা উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ভিডিও ও লিখিত বার্তা প্রেরণ করেন।
আহমদীয়া মুসলিম জামাত জার্মানি এ বছর তাদের প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উদযাপন করছে। ১৯২২ সালে বাংলার কৃতিসন্তান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ খান সাহেব মৌলবী মোবারক আলী জার্মানিতে আহমদীয়া মুসলিম জামাতের পক্ষ থেকে ইসলাম প্রচারক ও ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।