যেভাবে প্রেম করে সৌদির তরুণ-তরুণীরা


- অনলাইন ডেস্ক
- ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৪:৩১
রক্ষণশীল সৌদি আরবে পারিবারিক সম্মান নির্ভর করে মেয়েদের ‘সতীত্বের’ ওপর। প্রেম তো দূরের কথা অনাত্মীয় নারী-পুরুষের মেলামেশাও সেখানে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অবস্থা এমনই ভয়াবহ যে, ভ্যালেন্টাইন'স ডে-তে গোলাপ বিক্রিতেও সেখানে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পুলিশ।
তবু প্রেম কি থেমে থাকে? থাকে না। প্রেমের জন্য নানা ছলনার আশ্রয় নিতে হয় তাদের। ছেলেরা গাড়ির জানালায় নিজেদের ফোন নাম্বার লিখে রাখেন প্রায়ই। যদি কোনো তরুণী ফোন করে!
তবে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের উদারপন্থি পদক্ষেপের কারণে অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। এখন প্রায়ই তরুণ যুগলরা ক্যাফে আর রেস্টুরেন্টে ডেটিং করছেন।
এদিকে এক গবেষণায় দেখা গেছে, ধনীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওয়েবসাইট ও অ্যাপসের মাধ্যমে অভিসারসঙ্গী খুঁজে বেড়ান সেখানে।
এখনও দেশটিতে বিয়ের আগে প্রেমকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। তাই সৌদি তরুণ-তরুণীদের অনেকেই বাধ্য হচ্ছেন এক অদ্ভুত দ্বৈত জীবনযাপনে। গোপনীয়তা আর মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয় তাদের।
রাজধানী রিয়াদের ২৭ বছর বয়সী তরুণী সামিরা (ছদ্মনাম) তেমনই একজন প্রেমিকা। প্রেমিকের জন্মদিনে হাতে লেখা বার্থডে কার্ডের সঙ্গে কিছু উপহার দিয়েছিলেন তিনি। বিষয়টি টের পেয়ে ওই তরুণের মা সেগুলোকে পায়ে পিষে নষ্ট করেন। সেইসঙ্গে সামিরাও ভয় পান নিজের বাড়িতে বিষয়টি ধরা পড়ে যাওয়ার। কারণ, সৌদি সমাজে পারিবারিক সম্মান নির্ভর করে মেয়েদের “সতীত্বের” ওপর।
সামিরা জানান, নারীদের নজরদারির জন্য পরিবারের লোকজন পেশাদার গোয়েন্দাও ভাড়া করে থাকেন। কারণ প্রেমিকের সঙ্গে মেলামেশাকে এখনও বিবেচনা করা হয় মেয়েদের “সতীত্বহানিকর” হিসেবে।
চুমু খাওয়া তো সমাজের চোখে বড় ধরনের অপরাধ বা হারাম! কিন্তু চুমু কি তারা খান না। অনেকেই খান। আর নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নেন গাড়ির ভেতরটাকে।
নাসের নামে এক তরুণ ব্যবসায়ীর ভাষায়, নিজের গাড়ির ভেতরে ডেটিং সারাই সবচেয়ে নিরাপদ। ডেটিং বিষয়টির পরতে পরতে ঝুঁকি।
মানবকণ্ঠ/এইচকে
