

ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দল ‘কংগ্রেস’ এর নেতা রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। এরপরেই ‘বেআইনিভাবে’ সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সেই বিচারক হরিশ হাসমুখভাই বর্মার পদোন্নতি দিয়েছিল গুজরাট সরকার। কিন্তু সেই পদোন্নতিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
গতকাল শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম আর শাহ ও বিচারপতি সি টি রবিকুমার সুরাট নিম্ন আদালতের বিচারক হরিশ হাসমুখ ভার্মাসহ মোট ৬৭ বিচারকের পদোন্নতি স্থগিত করেন।
মোদী পদবি নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের দায়ে করা মামলায় গত ২৩ মার্চ বিচারক হরিশ হাসমুখ ভার্মা রাহুল গান্ধীকে অপরাধী ঘোষণা করে দুই বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন। এরপর তার সঙ্গে আরও ৬৭ বিচারককে জেলা আদালতে পদোন্নতি দেয়া হয়। সরকারি এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পদোন্নতিবঞ্চিত কিছু বিচারকসহ অন্যরা। গতকাল সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই এ আদেশ দেন ওই দুই বিচারপতি।
সর্বোচ্চ আদালতে বিষয়টি বিবেচনাধীন হওয়া সত্ত্বেও গুজরাট হাইকোর্ট কী করে পদোন্নতির সুপারিশ এবং রাজ্য সরকার সে সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করে।
গতকাল গুজরাট হাইকোর্টের সুপারিশ ও রাজ্য সরকারের নির্দেশনামা স্থগিত করে বিচারপতি শাহ ও বিচারপতি রবিকুমারের ডিভিশন বেঞ্চ বলেন, পদোন্নতি পাওয়া প্রত্যেক বিচারককে আগের পদে ফেরত যেতে হবে।
দুই বিচারপতি বলেন, এই স্থগিতাদেশ সাময়িক। মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ জারি থাকবে। বিচারপতি শাহ ১৫ মে অবসরে যাচ্ছেন। প্রধান বিচারপতিকে তিনি মামলাটি উপযুক্ত বেঞ্চে পাঠানোর অনুরোধ করেছেন।
সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া